তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দুষ্কৃতিকারীদের দেয়া বিষে মরে ভেসে উঠেছে বিলের মাছ।
জানা গেছে, উপজেলার দামিহা ও দিগদাইড় দুই ইউনিয়নের সীমানাঘেষা আগার বিল বাঘার খাল নামে খ্যাত প্রায় ২৯ একর সরকারি ভূমি দামিহা ইউনিয়নের রাহেলা গ্রামের বাঘাইন বিল মৎসজীবি সমবায় সমিতি মাছ চাষের জন্য ৬ বছর মেয়াদী রাজস্ব পরিশোধের মাধ্যমে লীজ নেন। প্রতি বছর ভ্যাট ও আয়কর সহ মোট ২৪লাখ আট হাজার একচল্লিশ টাকা পরিশোধ করে আসছেন বাঘাইন মৎসজীবি সমবায় সমিতি। এলাকার বোর ফসল কাঁটার পর বৈশাখ মাসে মাছের পোনা ছেড়ে ও লালন পালন করে আশ্বিন থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত মাছ বিক্রি করে আসছেন ওই সমিতির লোকজন। এরই মাঝে গত শুক্রবার দিবাগত রাতের আঁধারে কে বা কারা বিষ দিয়ে নিধন করেছেন বিলের মাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিলের চারিদিকে ভেসে আছে অসংখ্য মরা মাছ।
বাঘাইন মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সরকারি ৩৮একর ৯৬শতাংশ ভূমি লীজ নিয়ে এবং স্থানীয় কৃষকদের থেকে আরোও ২০০একর ভূমি স্থানীয়ভাবে লীজ নিয়ে প্রায় ২৩৯ একর ভূমিতে আমাদের সমিতির লোকজন মাছ চাষাবাদ করে আসছিল। এ বছর বৈশাখ মাসে প্রায় ৬০লক্ষ টাকার মাছ বিলে অবমুক্ত করেন। তাছাড়া ৪৬লক্ষ টাকার খাদ্য এবং বাঁশ নেট বায়নাবাবদ আরো প্রায় ৩০লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সবেমাত্র মাছ বিক্রয়ের জন্য উপজোগী হয়ে উঠেছে। এরই মধ্য রাঁতের আধারে ঙ বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছেন দুষ্কৃতকারীরা।
তিনি আরও জানান, বিলে প্রতিদিন ১৫জন সদস্য পাহারার দায়িত্বে আছেন। তাঁদের প্রতিমামে দিতে হয় ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা।সব মিলিয় কোটি টাকার উপড়ে আমাদের খরচ। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। মহাজনের সুদ,খাদ্যের দোকানে বিশাল অঙ্কের দেনাসহ নিজেদের পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব সমিতির সকল সদস্যরা।
তিনি জানান, রাতে বিলের চারিদিকে পাহারা দেয়া লোকজন গভীর রাতে এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীদের বিলের পাড়ে ঘুরতে দেখেছেন।এদের দ্বারাই এই জঘন্য কাজটি সংগঠিত হয়েছে বলে ধারনা করছেন।এ ব্যাপারে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন,ইতিমধ্য তাড়াইল থানা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জয়নাল আবেদীন সরকার জানান, বাঘাইন বিল মৎসজীবি সমিতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।